Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমাজসেবা অধিদফতর অন্যতম। বিশেষ করে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মানবিক ও সামাজিক কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমাজসেবা অধিদফতর উল্লেখযোগ্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদের আলোকে দেশের অনগ্রসর, অসহায়, দুঃস্থ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার পূরণের লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদফতরের ভূমিকা দেশব্যাপী স্বীকৃত। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সনদ বাস্তবায়নের প্রতি এই অধিদফতর বদ্ধপরিকর। মানবাধিকার সনদ, শিশু অধিকার সনদ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সনদ ইত্যাদি বাস্তবায়নে সমাজসেবা অধিদফতর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমন্বিত ও টেকসই উন্নয়ন রূপকল্প সামনে রেখে সামাজিক ন্যায্যতা ও বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রূপরেখা মোতাবেক সমগ্র বাংলাদেশে বয়স্কভাতা কার্যক্রম, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রম, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কার্যক্রম, প্রবেশন এন্ড আফটার কেয়ার সার্ভিসেস, এতিম, বিপন্ন, ঝুঁকিগ্রস্ত শিশুদের বিভিন্ন প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে প্রতিপালন ও পুনর্বাসনসহ পঞ্চাশটিরও অধিক সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ কার্যক্রম সমাজসেবা অধিদফতর বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।    


বাংলাদেশে পেশাদার সমাজসেবা শুরু হয় ১৯৫২-১৯৫৩ এর দিকে। ১৯৫৩-১৯৫৪ এর সময় তৎকালীন সরকার ১৯৪৭ এর দেশভাগের ফলে সৃষ্ট বেকারত্ব,সামাজিক সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় জাতিসংঘের সাহায্য কামনা করায় জাতিসংঘের টেকনিকাল এসিস্ট্যান্স প্রোগামের আওতায় জেমস রাসেল ডুম্পসন জাতিসংঘের উপদেষ্টা হিসেবে পাকিস্তান সফরে এসে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং সমস্যা সমাধানকল্পে বেশ কিছু পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি পেশাদার সমাজকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসুচি চালুর প্রস্তাব করেন এবং Urban Community Development Board এর রুপরেখা প্রণয়ন করেন। তার এই পরিকল্পনার সুত্র ধরেই ১৯৫৩ সালে পুরান ঢাকার কায়েতটুলীতে Urban Community Development Project পাইলটিং প্রকল্প হিসেবে চালু করা হয়। পাশাপাশি জেমস রাসেল ডুম্পসনের পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা অনুযায়ী পেশাদার সমাজকর্মীদের প্রফেশনাল ডিপ্লোমা ও ডিগ্রি প্রদানের জন্য ১৯৫৮ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্য, শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে "College of Social Welfare and Research Centre" প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটউটে রুপান্তরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় সমাজসেবা অধিদফতর ১৯৭৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে তৎকালীন ১৯টি থানায় ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ শুরু করে। একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটউটে শহর সমাজকল্যান ( ইউসিডি) সংগঠক পদে দক্ষ জনবল নিয়োগের জন্য ৯ মাসের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হয় এবং পরবর্তী বছর মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়। ঐ সময়কালে সমাজকল্যাণ সংগঠকদের মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে প্রথমবারের মতো সমাজসেবা অধিদফতরের আনুষ্ঠানিক সূচনা যা ১৯৭৮ সাল নাগাদ বিস্তৃত হয়ে স্থায়ী রূপ লাভ করে।